ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

কিশোরগঞ্জে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃত্তি পরীক্ষা বাতিল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম

কিশোরগঞ্জে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃত্তি পরীক্ষা বাতিল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ।

 


কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: 

কিশোরগঞ্জে  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত বৃত্তি পরীক্ষায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাতিল করার প্রতিবাদে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে  মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

আজ বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায়  বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুল ঐক্য পরিষদ এর  উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুল ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম খোকন, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুল ঐক্য পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলার যুগ্ন আহবায়ক মুস্তাক আহমেদ দাদাভাই, বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন ও বেসরকারি স্কুল ঐক্য পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ মাহবুবুর রহমান রিপন, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুল ঐক্য পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন মেননসহ  শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। 

বক্তারা বলেন,আজ সারা বাংলাদেশ এক ,সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেসরকারী শিক্ষার্থী বেশি হওয়া সত্ত্বেও কেন এই বৈষম্য। বৃত্তি পরীক্ষায় অর্জিত অর্থের জন্য নয় এটা একটি শিশুর অধিকার। আজ দেশের বেশীরভাগ শিক্ষার্থী এই অল্প বয়সে বৈষম্যের শিকার হতে আমরা দিতে পারি না।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন আজকের শিশু আগামী ভবিষ্যৎ । প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের হাতেই অর্পিত হবে দেশের আগামী নেতৃত্ব। শিক্ষায় দৃশ্যমান সাফল্য বাংলাদেশের একটি বিশাল অর্জন। এ অর্জন স্বীকৃত সারা বিশ্বে। আমরা বাংলাদেশের কিন্ডারগার্ডেনের স্কুলের প্রায় সাত লক্ষ শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারী গর্বিত এজন্য যে এ অর্জনের অংশীদার আমরাও। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত কিন্ডারগার্ডেন কুলগুলো শিক্ষা ক্ষেত্রে এক যুগান্তরে ও সময়োপযোগী অবদান রেখে আসছে এবং বেকার সমস্যা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। দেশে প্রায় ষাট হাজার কিন্টারগার্টন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। বিত্তি শুধুমাত্র একটি আর্থিক অনুদান নয় এটি একটি শিশুর আত্মবিশ্বাস সামাজিক স্বীকৃতি এবং শিক্ষাগত অগ্রগতির অনুপ্রেরণা যখন একটি শিশু দেখবে তার বন্ধুরা ভিত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে কিন্তু সে নিতে পারছে না শুধুমাত্র তার বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ধারণ ভিন্ন বলে তখন তা তার মনোবল নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এটি শিশুদের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমূলক অনুবাদ গড়ে তোলে, যা জাতীয় শিক্ষানীতি এর সাম্যনীতির পরিপন্থী। তাই যতক্ষন পর্যন্ত সরকার এই কালো আদেশ তুলে না দিবে ততক্ষন পর্যন্ত আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করে যাবো। 

 

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!