নওগাঁ: জেলা প্রতিনিধি,
নওগাঁর পত্নীতলায় বারিক নামে এক ছেলের পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার মামলায় এক মেয়ে শিশুকে পাঁচ বছরের আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাপাহার উপজেলায় কুদরত নামে এক ছেলেকে হত্যার ঘটনায় আরেক শিশুকে ১০ বছরের আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৯ জুলাই সকালে জনাকীর্ণ আদালতে উভয় আটকাদেশের এই রায় প্রদান করেন নওগাঁর শিশু আদালতের-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো: মেহেদী হাসান তালুকদার।
আটকাদেশ প্রাপ্তরা হলো, পত্নীতলা উপজেলার বাগমার গ্রামের ছন্দা (ছদ্মনাম) এবং সাপাহার উপজেলার পিছলডাঙা এলাকার সুমন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার পত্নীতলা থানার বাগমার গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে বারিকের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় একই গ্রামের ষোল বছর বয়সী ছন্দা (ছদ্মনাম) নামের এক শিশু। ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট রাত সাড়ে ১২ টায় ছন্দা (ছদ্মনাম) তার শয়ন ঘরে একই গ্রামের বারিককে ডেকে নিয়ে যায়। এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বারিকের পুরুষাঙ্গ চার ভাগের তিন ভাগ কেটে ফেলে। এঘটনায় বারিকের বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় অভিযক্তু শিশু’র বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আদালত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। এসময় অভিযুক্ত শিশু’র
উপস্থিতিতে তাকে পাঁচ বছর আটকাদেশের রায় পড়ে শোনানো হয় এবং অভিযুক্ত শিশু ছন্দা (ছদ্মনাম) বর্তমানে প্রাপ্ত বয়স্ক (২৬) হওয়ায় তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন শিশু আদালত-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার।
অপরদিকে জেলার সাপাহার থানার পিছলডাঙ্গা গ্রামের মোজাফ্ফরের ছেলে কুদরতকে আছাড় দিয়ে হত্যা করে
সুমন (১৬) নামের এক শিশু।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৭ জুন বেলা সাড়ে ১১ টায় সাপাহার থানার বিদ্যানন্দী গ্রামের বিননকান্দেরা মাঠে পাওনা টাকা নিয়ে কুদরত আলী ও অভিযুক্ত শিশু সুমনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সুমন কুদরতকে কোলে তুলে আছাড় মারে। আহত কুদরতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর নিহত কুদরতের বাবা সাপাহার থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় অভিযুক্ত শিশু’র বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আদালত সাত জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ মঙ্গলবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। এসময় অভিযুক্ত শিশু’র উপস্থিতিতে তাকে দশ বছরের আটকাদেশের রায় পড়ে শুনানো হয় এবং অভিযুক্ত শিশু সুমন বর্তমানে প্রাপ্ত বয়স্ক (২৭) হওয়ায় তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশলী রেজাউল করিম উভয় রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আর অভিযুক্ত শিশু ছন্দা (ছদ্মনাম) এর পক্ষের এ্যাডভোকেট আঃ আজিজ পিন্টু এবং অপর অভিযুক্ত শিশু সুমনের পক্ষের এ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।
আপনার মতামত লিখুন :