উগ্রবাদী ইসকনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নেত্রকোনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে খেলাফত আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
আজ শনিবার দুপুরে জেলা শহরের বড়বাজার শাহী মসজিদের সামনে খেলাফত আন্দোলনের ঘন্টাব্যপী প্রতিবাদী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, ইসকন দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম তরুণীদের টার্গেট করে করে হিন্দু সঙ্ঘবদ্ধ চক্র কর্তৃক পালাক্রমে ধর্ষণ ও গাজীপুরে মসজিদের ইমামকে গুম করে হত্যা চেষ্টা করেছে। ইসকনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পরে বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলো প্রদক্ষিণ করে বারহাট্টা রোডস্থ জামিয়া ইসলাম উলুম মাদ্রাসার সামনে গিয়ে শেষ হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম রুহী, ইসলাম ঐক্যজোটের জেলা সভাপতি মাওলানা শরিফ উদ্দিন ও সেক্রেটারি মাওলানা আবু সায়েম খান, জেলা হেফাজতে ইসলামের সদস্য সচিব মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন নেতা মাওলানা মুস্তাফা জেহাদী, মুফতি আরিফুজ্জামান, হাফেজ জাকির হোসেন, মুফতি মুসা শেখ, মাওলানা আতাউর রহমান কমলপুরী, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মাওলানা ইজহারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মোতালিব, হাফেজ সাকিব আল হাসান প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব গাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রহিম বলেন, ইসকন ধর্ম প্রচারের নামে দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশে একের পর এক উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসতেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে শান্ত এই ভূমিকে বিদেশি ইন্ধনে অশান্ত করে তোলার ফন্দি এঁকেছে। চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে এডভোকেট আলিফ হত্যাকান্ড তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুরে মাদ্রাসার ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে হিন্দু একটি চক্র পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। টঙ্গীতে একজন মসজিদের ইমামকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করে নিয়ে পঞ্চগড়ে ফেলে রেখেছে। আমরা এভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, সবগুলো ঘটনার পেছনে ইসকনের হাত রয়েছে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এই ইসকন বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা করে দেশ-বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। আমরা অন্তবর্তী কালীন সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ, গাজীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং গাজীপুরে মসজিদের ইমামকে গুম করার পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় দেশের তৌহিদী জনতাকে সাথে খেলাফত আন্দোলন কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

আপনার মতামত লিখুন :