মৌলভীবাজারের কুশিয়ারা নদীতে নৌকা বাইচ, বৈঠার ছন্দে উৎসবের ঢেউ

কুশিয়ারা নদীর বুকে ঢাকের বাজনা, বৈঠার ছন্দ আর দর্শকদের হুই হুল্লোড়ে মুখরিত হলো মৌলভীবাজার। ২৩ অক্টোবর বুহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হলো গ্রামবাংলার চিরন্তন ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। ঐতিহ্যের টানে নদীর দুই তীরে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো মানুষ। নদীমাতৃক বাংলার অদম্য প্রাণশক্তি আর গ্রামীণ আনন্দের এক অনন্য চিত্র ফুটে ওঠে এ আয়োজনে। 
মৌলভীবাজারের শেরপুর কুশিয়ারা নদীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় সিলেট বিভাগের মিলনস্থল শেরপুর অনুষ্টিত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় ১২টি দল অংশ নেয়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগীতা টিকিয়ে রাখতে বৃত্তশালী ও সরকারের সু দৃষ্টি চান এলাকাবাসী।
রঙিন সাজে সজ্জিত নৌকা, হাতে বৈঠা আর ঢাক-ঢোলের তালে তালে গাওয়া গান, সব মিলিয়ে উৎসবের আবহে ভরে ওঠে নদী। প্রতিটি নৌকায় ১৮-২০ জন বৈঠাবাজ একই ছন্দে বৈঠা চালিয়ে এগিয়ে চলে। তাদের উৎসাহ দিতে নদীর দুই তীরে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকেরা করতালি, স্লোগান আর উল্লাসে মাতিয়ে রাখেন পুরো পরিবেশ।
দর্শনার্থীরা জানান আমরা ছোটবেলায় গ্রামে নৌকা বাইচ দেখতাম, আজ আবার কুশিয়ারায় সেই পুরনো দিনের আবহ ফিরে পেলাম। হাজারো মানুষ একসাথে এই উৎসব উপভোগ করছে, সত্যিই অভাবনীয় দৃশ্য। নৌকা বাইচ শুধু বিনোদন নয়, এটা আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। 
নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায়-আবুল হোসেন সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, সাবেক বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, বিশেষ অতিথি আবু মিয়া চৌধুরী,জেলা বিএনপির সদস্য মুহিতুর রহমান হেলাল,জেলা বিএনপির সদস্য মাহমুদুর রহমান,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ,যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম সাহেদ প্রমুখ।
অংশ গ্রহন কারী ১২টি নৌকার মধ্যে প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্বে ৪টি নৌকা অংশ গ্রহণ করে। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ‍‍`ঈশানের তরী‍‍` একটি মটর সাইকেল। দ্বিতীয় ‍‍`এসকের তরী‍‍` একটি ফ্রিজ ও তৃতীয় ‍‍`মহরম আলীর তরী‍‍` একটি ফ্রিজ এবং চতুর্থ ‍‍`নগর পবোন‍‍` একটি সিলিং ফ্যান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের নিকট পুরস্কার প্রদান করা হয়। 
নৌকা বাইচ এর প্রতিযোগীতার সভাপতি আবুল হোসেন বলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ নৌকা বাইচে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার,হবিগঞ্জ,সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলা থেকে ১২টি দল অংশ নেয়। হারিয়ে যাওয়া গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহি এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন যেনো আগামীতে অব্যাহত থাকবে।