নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই এলাকার একটি মাদ্রাসার ৯ বছর বয়সী হিফজ বিভাগের ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৫৫) কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ।
এর আগে ১৭ অক্টোবর ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে নেত্রকোনা সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরদিন ১৮ অক্টোবর রাতে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ১৯ অক্টোবর তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী শিশুটি তিন বছর ধরে নেত্রকোনার সাতপাই কলেজ রোডে অবস্থিত একটি মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে পড়াশোনা করছিল এবং মাদ্রাসার আবাসিক বোর্ডিংয়ে থাকত। সেই সুযোগে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান প্রায়ই শিশুটির সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন। শিশুটি লজ্জায় বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক শিশুটির বিছানায় গিয়ে জোরপূর্বকঁ বলাৎকার করেন। শিশুটি কান্না শুরু করলে অন্য ছাত্ররা জেগে ওঠে। তখন শিক্ষক বিষয়টি ঢাকতে বলেন, তিনি নাকি মশারি টানিয়ে দিতে গিয়েছিলেন এবং শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখান।
পরে শিশুটি অস্বাভাবিক আচরণ করলে মাদ্রাসার পরিচালক তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনা খুলে বলে। এরপর পরিচালক বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে ভুক্তভোগীর মা থানায় মামলা করেন।
ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, “ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করি এবং আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আমরা দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেব ন্যায়বিচারের স্বার্থে।
আপনার মতামত লিখুন :