বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় আমন খেতে ব্যাপক হারে মাজরা পোকা ও ব্যকটরিয়া জনিত বিএলবি রোগের আক্রমন দেখা দিয়েছে। মাজরা পোকা দমনে ব্যর্থ হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পোকা দমন বা নিধনে উপজেলা কৃষি অফিসের কোন প্রকার সহয়তা পাচ্ছেন না বলে কৃষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
সরেজমিন গত বুধবার উপজেলা সদর ও সান্তাহার ইউনিয়নের কেশরতা, কুসুম্বী, মুরাদপুর, সুদিন, মন্ডবপুর, দমদমা, সান্দিড়া, প্রসাদখালি, কাশিমিলা ছাতনীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মাঠে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় জমির আমন ধানের গাছে ব্যাপক হারে মাজরা পোকা আক্রমন করেছে। মাজরা পোকার আক্রমনের কারনে অধিকাংশ ধান গাছের পাতা মরে হলুদ বর্ণ ধারন করেছে। কোন কোন জমির ধান গাছ প্রায় পাতা শুন্য হয়ে মরে যাচ্ছে। মাজরা দমনে কৃষকরা বিভিন্ন কোম্পানীর কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন প্রকার সুফল পাচ্ছেন না।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। উপজেলার দমদমা গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলাম বলেন, এ বছর তিনি প্রায় ৭ বিঘা জমিতে স্বর্ণা ও সুগন্ধী জাতের ধান চাষ করেছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁরসহ গ্রামের অধিকাংশ কৃষকের জমিতে ভয়ংকর ভাবে মাজরা পোকা আক্রমণ করেছে। পোকা দমনের জন্য প্রায় সকল কৃষক দানাদার এবং তরল জাতীয় কীটনাশক ব্যবহার করছেন, কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাজরার আক্রমণ। মাজরার পাশাপাশি ধান গাছে ব্যকটরিয়া জনিত বিএলবি রোগের আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। সান্দিড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই সিদ্দিক অভিযোগ করেন, আমরা ধান নিয়ে চরম বিপদে থাকলেও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মাঝে মধ্যে কেউ কেউ আসেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের মাঠে ইরি ধান গাছে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাজরা পোকার আক্রমন হয়েছে। পোকা দমন করা না গেলে ধানের ফলনে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার রবিউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যে সকল এলাকায় ধান খেতে মাজরা পোকার আক্রমনের কথা বলা হচ্ছে সেই এলাকায় তদারকি শুরু হয়েছে এবং কৃষকদের রোগ দমনের বিষয়ে নানা প্রকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।
আপনার মতামত লিখুন :