ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতার মৎস খামারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
সোমবার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের সান্দিয়াইন গ্রামে বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেনের ১০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা সাফিয়া এগ্রো মৎস খামারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনা ঘটেছে।
বিএনপি নেতা মৎস খামারি বেলায়েত হোসেন এ ঘটনায় গফরগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবত নিজস্ব জমি ও ভাড়া করা জায়গায় বেলায়েত হোসেন মাছ চাষ করছেন। প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে রাজু মিয়া প্রায়ই বাঁধ কেটে খামারের ক্ষতি সাধন করে এবং রাতের আঁধারে মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়েও লাভ হয়নি।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন বলেন,আমার মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করলে দুদিন ধরে মাছ মরে ভেসে
উঠছে। আমি এই ঘটনা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটেছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে রাজু মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগের ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছে। বিষ প্রয়োগে আমার ১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক প্রয়াত নাজমুল হকের ভারইল গ্রামের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে সব কিছু পুড়িয়ে দেয়।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে রাজু এ ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,আমরা জানিনা কারা বিষ দিয়ে মাছ নিধন করল।
এঘটনার ১০ দিনের ব্যবধানে আরেক বিএনপি নেতার মৎস খামারে বিষ প্রয়োগের ঘটনা আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত নাশকতা কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানান পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ফজলুল হক বলেন, বিএনপি নেতাদের বাড়ি ও সম্পদের উপর একের পর এক ঘটনা বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। আমাদের কাছে এটা গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে হয়। প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে গফরগাঁও থানার ওসি মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মৎস খামারী অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :