ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

দিনাজপুরে দ্বিতীয় দিনের সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলমান

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ০২:২২ পিএম

দিনাজপুরে দ্বিতীয় দিনের সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলমান

ছবি বর্তমান বাংলাদেশ

দ্বিতীয় দিনের মত দিনাজপুর সদর উপজেলার পুলহাট শিল্পনগরী থেকে খানপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান রেখেছে দিনাজপুর সড়ক বিভাগ।

সোমবার  (৩ নভেম্বর ২০২৫) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিন মাসিমপুর থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সচিব এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চেীধুরী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারী জয়গা অবৈধভাবে দখল করে পুলহাট থেকে খানপুর পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে শতাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি গড়ে ওঠে। এতে সড়কটি সরু হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেও কয়েক দফা সতর্ক করা হলেও দখলদাররা স্থান খালি করেননি। ফলে প্রশাসন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ গ্রহণ করে। অভিযান চলাকালীন সওজ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, জনস্বার্থে এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কর্মকর্তারা সবাইকে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত রাখতে ও উন্নয়ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

দিনাজপুরে এই উচ্ছেদ অভিযানে একদিকে যেমন সড়ক প্রশস্তকরণের উদ্যোগে সাধারণ মানুষ আশাবাদী, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে মানবিক সহায়তার প্রত্যাশা করেছেন।

দিনাজপুর সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আসাদ জানান দিনাজপুর পুলহাট থেকে খানপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকায় সড়কের ৮৫ ফিট প্রশস্ত অংশের ভেতরে থাকা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ১৯৪২ সালে অধিগ্রহণ করা সরকারি জায়গা দখলমুক্ত রাখতেই এই অভিযান। তিনি আরও বলেন, দখলমুক্ত হওয়া জায়গায় সড়ক প্রশস্তকরণ, ড্রেনেজব্যবস্থা ও জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।


মাসিমপুর এলাকার মুূদি দোকান ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০ বছর ধরে এখানে দোকান করছি। ঋণ নিয়ে ২ বছর আগে দোকান মেরামত করে নতুন করে তুলেছিলাম, এখন সব ভেঙে গেল। কীভাবে ঋণ শোধ করব জানি না।


ফল বিক্রেতা হাসিনা বেগম বলেন, এই দোকানেই সংসার চলত। এখন দোকান নেই, আয়ের পথও বন্ধ হয়ে গেল। কি করব বুঝতে পারছি না।

ওষধ ব্যবসায়ী জাহীদুল হক বলেন, রাস্তা প্রশস্ত হওয়া দরকার, এতে সকলের সুবিধা হবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগও নেওয়া উচিত। তাদের জন্য বিকল্প জায়গা না দিলে অনেক পরিবার সমস্যায় পড়বে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!