মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা দুর্নীতির কাছে রূপকথার গল্প হার মানিয়েছে। অনুসন্ধানে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি অফিসারের বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, এই প্রকল্পের শুরু থেকে রাজনগর উপজেলা কৃষি অফিসার দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারী টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলায় ব্যাপক জানা-জানি হলে উপজেলা কৃষি অফিসার টাকা আত্মসাত করতে না পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবেশ ও মাটির ক্ষতি করে এমন গাছ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় সরকারি উদ্যোগে এসব চারা উৎপাদন, রোপণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরকারি নির্দেশনার আলোকে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়।
সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার জেলায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাতে আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস চারা ধ্বংসকল্পে উৎপাদনকারী বেসরকারী ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারী মালিকদের ক্ষতিপুরণ সহায়তা বাবদ মোট ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে রাজনগর উপজেলায় ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা টাকার ক্ষতিপূরণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কৃষি অফিসার নার্সারিতে গিয়ে এসব চারা ধ্বংস করার কথা রয়েছে। নার্সারীতে কৃষি কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে কয়েকটি চারা ধ্বংস করেন। এতে কৃষি বিভাগের যোগসাজসে অনিয়ম করা হয়েছে। রাজনগর উপজেলার অন্যান্য নার্সারী মালিকরা বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখছেন।
এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে সরকারি নির্দেশনার আলোকে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি ও কৃষি কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি করা হয়।
সালাম নার্সারীর মালিক আব্দুস সালাম জানান নার্সারি মালিক সালাম বলেন, আমার নার্সারির বড় চারা গাছ গুলো ১৫ শ লিখেছেন কেন? এটা ভুল হয়েছে গেছে। পরবর্তীতে এটা ঠিক করে দিবেন। আমাকে ইউএনও রুমে নিয়ে চারার মূল্য ২হাজার টাকা দিয়েছেন। অন্যনেন নার্সারির মালিকদের কে ২ হাজার , ৫ হাজার, ৩ হাজার, ২০ হাজার টাকা করে নার্সারির মালিকরা সবাই টাকা এনেছে। আমার নার্সারির পুরোনো সব গাছ গুলো নষ্ট করার কথা ছিল। কিছু টা নষ্ট করে চলে যায়।আর আমার নার্সারিতে কৃষি অফিসার কমকর্তা আসিনি। ইউএনও মেডাম এখানে কিছু নায়। শুধু তিনি চেক বিতরণ করেছেন নিজ হাতে। আমাকে বলেছে বড় চারা গাছের হিসাব দিতে বলেছিল। আমি হিসাবে দিয়েছি ১৫ হাজার। কিন্তু খাতা কলমে লিখেছে ১৫ শ তিনি লিখেন। আমি যখন বললাম তখন বলেন ভুল হয়েছে। কৃষি অফিসা দুনীতির সাথে জড়িত। তা না হলে উনি কেন ভুল শিখার করেন।
অন্য নার্সারীর মালিকরা জানান কৃষি অফিসাকে জিজ্ঞেস বলেছিলাম, উনি বলেন যে আমাদের নাম নেই। যে ৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে লিস্ট অনুযায়ী। কৃষি অফিসে তাদের আশা যাওয়া রয়েছে এবং তাদের লেনদেন ভালো ছিল সম্পর্ক রয়েছে। যারা টাকা পেয়েছে তাদেরকে বলা হয়েছে। আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস ভবিষ্যতে তার আর কেউ চারা রুপন করা যাবে না।
কমিটির সদস্য সচিব ও রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন,নার্সারির মালিকদের প্রণোদনা ৫ জনের নামে এসেছিল। সেই কমিটির উপস্থিতিতে,আমরা উনাদের কে প্রাপ্য প্রণোদনা বুঝিয়ে দিয়েছি। ইউএনও মহোদয় এবং আমরাসহ ৪/৫ জন অফিসার ছিলাম। ৭ টা নার্সারির নাম দিয়েছিলাম,তাদের মধ্যে ২ টা বাদ গেছে। যারা পায়নি পর্যায়ক্রমে তারা ধীরে ধীরে পাবে। কাজটা চলমান রয়েছে। ইউএনও নিবাহী কর্মকর্তার বিষয়ে জানতে চাইলে, উনি কিছু না বলে পার্শ্ব কাটিয়ে চলে যান। অস্বীকার করে তিনি বলেন, দূর্নীতি ও অনিয়মের এর সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি’র সভাপতি আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, রাজনগর উপজেলায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস ধ্বংসের জন্য ৫ টি নার্সারির ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছিল। একাউন্ট চেকের মাধ্যমে দিয়েছে। চেকের যে অবশিষ্ট অংশ যেটা সেটা আমার এখানে রয়েছে এবং তাদের সাক্ষর ও রয়েছে এবং চেক বিতরণের রেজিস্ট্রার রয়েছে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
সম্ভব উপজেলা কৃষি অফিসা সম্পুর্ণ এককভাবে তথ্য টা দিয়েছেন। যেহেতু সেই তালিকাটা আমি দেই নি,সেটা আমার সাক্ষরে যায় নি। সেটা কৃষি অফিসারের একক সাক্ষরে গিয়েছে। রাজনগর নার্সারির সংখ্যা আর অনেক রয়েছে। কথা হচ্ছে তালিকা টা উপজেলা কৃষি অফিসা থেকে গিয়েছে। তালিকা টা কমিটির মাধ্যমে যায়নি। সে জন্য এটা আমি জানি না। এর বাহিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কে কি বলল সেটা তার ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা।
আপনার মতামত লিখুন :