ঢাকা রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

টেকনাফ থেকে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১

রিয়াজ উদ্দিন,কক্সবাজার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম

টেকনাফ থেকে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ  আটক-১

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে একজন আসামীসহ ৫০ পঞ্চাশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টরের অধীনস্থ, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী থেকে সীমান্ত নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃ রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বেসামরিক পরিমন্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে একজন আসামীসহ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।  

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)লেঃ কর্নেল অধিনায়ক বিজিবিএমএস মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ লেদা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১১ হতে আনুমানিক ৯শ গজ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মেম্বারের ঘের নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে লেদা বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল মেম্বারের ঘের এলাকায় গমন করতঃ কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।

আনুমানিক ৭টা ৩০ ঘটিকায় পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল ৩জন ব্যক্তিকে একটি নৌকা যোগে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত শূন্য লাইন অতিক্রম করে কেওড়া বাগানে নেমে মেম্বারের ঘেরের দিকে আসতে দেখে। বর্ণিত ব্যক্তিদের চলাচলের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন চোরাকারবারী দ্রুত নৌকায় উঠে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায় এবং অপর একজন চোরাকারবারীকে একটি ব্যাগসহ আটক করতে সক্ষম হয়। ধৃত চোরাকারবারীর নিকট রক্ষিত ব্যাগের ভিতর হতে ৫০ পঞ্চাশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী কুতুপালং এফডিএমএন ক্যাম্পে অবস্থান করে দীর্ঘদিন যাবত মায়ানমার হতে ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচারের সাথে জড়িত।

আটককৃত আসামীরা হলেন,উখিয়া কুতুপালং এফডিএমএন ক্যাম্প ৩ নম্বর এর অলি আহমেদের ছেলে মোঃ রশিদ আহমেদ (৪৫)।

উল্লেখ্য, আটককৃত আসামীকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!