ঢাকা সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫
আগে সংস্কার পরে নির্বাচন

৩০০আসনে প্রার্থী দেবে গণধিকার পরিষদ -ঝিনাইদহে রাশেদ খাঁন

রামিম খান, ঝিনাইদহ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম

৩০০আসনে প্রার্থী দেবে গণধিকার পরিষদ -ঝিনাইদহে  রাশেদ খাঁন

ছবি: বর্তমান বাংলাদেশ।

আগে সংস্কার, তারপরে নির্বাচন। গণধিকার পরিষদ আগামী নির্বাচনে তিনশত আসনে প্রার্থী দেবে। ঝিনাইদহ শহরে একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন গণধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন।

তিনি আরো বলেছেন বিপ্লব এখনও শেষ হয়ে যায়নি। বিপ্লবের অনেক বাকি। আমাদেরকে বিপ্লব শেষ করতেই হবে। আমরা বলেছি যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব এবং আমরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার পক্ষে।  

সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে ৬ জেলার নেতৃবৃন্দকে দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গ টেনে রাশেদ খাঁন বলেন, বিএনপি যে চিঠি দিয়েছে, চিঠির বিষয়ে একমাত্র তারাই বলতে পারবে। চিঠির বিষয়ে আমাদের সাথে পূর্ব আলোচনা ছিল না। আগামীতে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হলে আমাদের দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চিঠি প্রসঙ্গ টেনে রাশেদ খান আরো বলেন, ওই চিঠি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সমস্ত মন্তব্য করা হচ্ছে ,তা দ্রুত বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তার ভাষায় ( রাশেদ) যুগপৎ আন্দোলন যারা করেছে তাদের একটি ঘোষণা রয়েছে। ওই ঘোষনায় ৩১ টি দফা দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে। আমরা বিভক্ত হয়ে গেলে কেউ রক্ষা পাবো না ।

সুতরাং আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার সমালোচনা বন্ধ করি। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে এলাকায় কে মেয়র হবে কে এমপি কে মন্ত্রী হবে। জনগণের সেই ক্ষমতা আমাদের দিতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। আমরা সংখ্যা অনুপাতিক নির্বাচনের কথা বলেছি। খুব শীঘ্রই রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বর্তমান সরকার প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে রাশেদ বলেন, আইন শৃংখলা পরিস্থিতির এখনো নিয়ন্ত্রনে আসেনি।  কারণ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যে ভাবে দলীয়করণ, আত্মীয়করণ, রাজনীতি ফ্যাসিজিজম তৈরী করে তা খুব সহজে অল্প সময়ের মধ্যে দুর করা সম্ভবরপর হবেনা। শেখ হাসিনার তৈরী ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থা এখনো রয়ে গেছে। গত ১৫ বছরে পুলিশের মধ্যে দলীয় করণ প্রশাসনের মধ্যে দলীয় করণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রেত্ত্বারা রয়ে গেছে। তাদেরকে নানান ভাবে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তারা এখনো ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। যারা বাজার দখল করেছেন ,যারা টার্নিনাল দখল করেছেন, যারা ঘুস দুর্নীতি রাহাজানি অত্যাচার করেছে, যারা সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা ও টাকার বিনিময়ে লালন পালন করেছে। তারা এখনো পর্যন্ত বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত মামলা হয়নি। অভিযোগ আসছে অথের্র বিনিময়ে মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং কাজ করতে পারি তাহলে সকল সমসস্যা দুর করা সম্ভব এবং এই সরকারের পক্ষে রাষ্ট্র সংস্কার করা সম্ভব হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে গণঅধিকার পরিষদ নেতা ( রাশেদ) বলেন আমরা সরকারের প্রতি দাবি রেখেছি একটি রোড ম্যাপ জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। আমরা এই সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারে পর্যাপ্ত সময় দিতে চাই। সরকারে উপদেষ্টাদের সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে।  তিনি জোর দিয়ে আবারো বলেন, আগে রাষ্ট্র সংস্কার এরপরে নির্বাচন। রাষ্ট্র সংস্কার না হলে জাতীয় ঐক্য সংহতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবেনা। যে লাউ সেই কদু, জনগণের ভাগ্যর পরিবর্তন হবেনা।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাজেদুল ইসলাম,  ঢাকা উত্তরের সহসভাপতি  রাকিবুল হাসান,ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রাজন, মিডিয়া সেলের আহবায়ক মিশন হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি মোঃ আল মামুন সহ অনেকে। 

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!